ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

নির্বাচনের পূর্বশর্ত হাসিনার পদত্যাগ : গয়েশ্বর

258495_149অনলাইন ডেস্ক ::

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার কিংবা যে কোন গ্রহণযোগ্য সরকারের নিশ্চয়তা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবেনা।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব বলেন।

তিনি বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই। এছাড়া যে প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাকে ছুটি দেয়া হয়েছে তার মাধ্যমে সরকার গোটা বিচার ব্যবস্থার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে।

এসকে সিনহার ছুটির দরখাস্তে বানান ভুল এবং স্বাক্ষর জাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২ অক্টোবর যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের মনে রাখতে হবে আপাতত এ যাত্রায় সফল হলেও পরিণতি কিন্তু ভয়াবহ।

‘সর্বোচ্চ আদাল ধ্বংসের নীল নকশার বিরুদ্ধে’ এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।

সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, মো: আবদুল আউয়াল খান, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আর একতরফা নির্বাচন করতে পারবেননা। জনগণের আশা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন করার যোগ্যতা শেখ হাসিনার নেই। কারণ তারা আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে পরাজিত হবে।

তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ ও সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার সৎ সাহস সরকারের নেই। এখন পরাজয়ের আশঙ্কা সরকারের মনে কাজ করছে। তিনি বলেন, এখন জনগণের মাঝে নির্বাচন নিয়ে কোনো উৎসাহ উদ্দীপনা নেই। কারণ তারা ভোট দিতে পারেনা। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হলে জনগণ সেই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেনা। যেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনা, সেই নির্বাচনে বিএনপি যাবে কেনো? সুতরাং এখন নির্বাচন নয়। এখন একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত হবে এবং সকল রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবীরা নির্বাচনকালী সহায়ক সরকারের ব্যাপারে ঐক্যমত হবে তারপর নির্বাচন। এরআগে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো কথা নয়।

পাঠকের মতামত: